বুধবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৭

বিধ্বস্ত প্রেম

রেখার মিলনে ত্রিভুজের জন্ম!
আর ত্রিভুজ ভাঙলেই রেখার মিলন সমাপ্ত!
নিয়তির কি এক প্রহসন?
দুটি মনের মিলনেই প্রেম,
যখন সমীকরণে অমিল তখনই বিধ্বস্ত প্রেম মন্দির!
দূরত্ব ঘুঁচানোর এক জটিল সরলীকরণ
ভাঙ্গাচুরার নীরব কারিগর।
এরপরও অমিল ফলাফল নোনা বৃষ্টি!

অবহেলা আর তাচ্ছিল্যের স্তূপ যখন পাহাড় সম,
তন্দ্রাচ্ছন্ন দুঃখগুলোর চাবুক হাতে করে প্রত্যাবর্তন!
আঘাতে আঘাতে জর্জরিত হৃদয়ের অলিগলি,
নিদারুণ কষ্ট!
ব্যথাতুর কাতর আজ হেঁটে যাবার চেনা পথটা,
যখন দেখে স্থির নয়ন;
বুকের উপর দিয়ে ভালোবাসার মানুষটির সুখ যাত্রা!

জীবন্ত লাশে যতই লাগাও আতর লোবান সুগন্ধ পাওয়া যায় না।
বদলে হৃদয়ের পঁচা গন্ধে করুণা জাগবে মনে!
তবু অশ্রু ঝরায় না ব্যথাতুর মন!
কিছুদিন আগেও যে শরীরে ছিল চন্দনের ফোঁটা,
নিত্য তাজা ফুলে যা ছিল পূজনীয় তা এখন অস্পৃশ্য
প্রতিটি বাঁক, উপত্যকা, ঢালু এখন ডুবো চর!
যেন চোরাবালির জীবন্ত মৃত্যুকুপ।

নড়বড়ে  ভাঙ্গা সাঁকো পেড়িয়ে এক হাঁটু নোনা জল
পানকৌড়ির নির্লিপ্ত  ডুব সাঁতার!
ভাসে অঞ্জলি ভাসমান অসংখ্য বায়ু কুঠুরী!
এটা নয় কোন শ্রদ্ধাঞ্জলি!
প্রয়োজন শেষে বরণ মালাটার স্থান আবর্জনার স্তূপে,
যদিও সেটা কারো গলায় বেঁধে ছিলো মিলনবন্ধন।

লাশকাটা ঘরে আর কতদিন?
তীব্রঘাতে বেরিয়ে আসে স্মৃতি-সুখ
তুলে নেয় দুঃখের বীণ।
কাঁদায় চোখ, কাঁদায় অতীত, ঝরায় নোনাজল ,
জমাট কষ্ট বাতাসে ভেসে বেড়াই কালো মেঘ হয়ে;
অতঃপর ঘুমন্ত দুঃখগুলোকে জাগিয়ে অন্য পথে বাড়ায় পা।

পাহাড়ের বুকে জমিয়ে রাখা দুঃখগুলো ঝর্ণা হয়ে ঝরে,
যেটা দৃশ্যমান সকলের কাছে,
এখন সবুজ বৃক্ষের মাঝে কাঠঠোকরা তাঁদের চঞ্চু দিয়ে
তীব্র আঘাতে খুঁড়ে খুঁড়ে খুঁজে হারানো সুখ
নির্বাচিত যন্ত্রণারা শুকনো পাতায় বাসা বাঁধে,
একাকী বিহঙ্গ মন খেলার ছলে পাতার বাসায় দেয় উঁকি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন