অনেক বেশি জায়গা জুড়ে নতুন এই বাড়ি
বিদেশি সব প্রসাধনী আর দামি আসবাব গাড়ি।
ঘরে বাইরে চারিদিক রঙ বে-রঙের বাতি,
ছোট্ট একটা শুন্য ঘরে কাটে আমার রাতি।
আমার ছেলে আমার মেয়ের নেই যে কোন শরম,
তাইতো আমার স্থায়ী ঠিকানা এই বৃদ্ধাশ্রম ।
শিশুকালে ছেলে মেয়ে ধরতো শত বায়না,
এটা দাও ওটা দাও দেরি যে আর সহেনা।
চাহিবামাত্র সব কিছুই পরিমান মত পাই,
ওরা এখন সব পেয়েছে আমাকে পাই নাই।
ওদের জন্য সব করেছি দিয়েছি স্বেচ্ছাশ্রম,
তাইতো আমার শেষ ঠিকানা এই বৃদ্ধাশ্রম ।
কত অভিযোগ কত অনুরাগ আর কত অজুহাত,
সকাল বিকাল খাওয়াতাম ওদের দুধ মাখা ভাত।
বলতাম হেসে কাছে ডাকে মানিক আর ময়না,
এই বুকে সদা থাকিস আমি আর কিছু চাইনা।
ওরা এখন কোর্মা পোলাও খায় প্রতিদিন,
ভুলে গেছে মায়ের হাতের মজার খাবারের দিন !
তাই বুঝি আজ ওদের কাছে আমার জায়গা কম,
তাইতো আমার ঠিকানা হলো বৃদ্ধাশ্রম ।
আমার সন্তানরা আমার মত হয়না যেন সুখি,
আঁধার কালো হয়না ওদের বিলাসী জীবনমুখী;
প্রভু ওদের সুখি রেখো করোনা ওদের সন্তানের মতিভ্রম,
ভুলে গেছি আজ আমি আমার অতীত পরিশ্রম,
নোনা জলে কাঁটছে দিন হচ্ছি না কভু বিভ্রম,
তাইতো আমার ঠিকানা হলো স্থায়ী এই বৃদ্ধাশ্রম ।
রচয়িতাঃ
শাহাবুদ্দীন
সদর যশোর।
১৭/০৮/১৭ খ্রিঃ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন