সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৭

নেতৃত্বের উৎকর্ষতা ও আমাদের করণীয়

নেতৃত্ব শব্দটি ছোট্ট কিন্তু ব্যাপক অর্থবোধক। এই ছোট্ট শব্দটির প্রায়োগিক গুরুত্ব এত বেশি যে ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র কোন কিছুই এর প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করতে পারে না। ক্ষুদ্র ব্যক্তি থেকে বৃহৎ রাষ্ট্র পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা চলমান। সুতরাং চলমান জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এই অনুষঙ্গের উৎকর্ষতা বা বিকাশ সাধনের চেষ্টা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। যেকোনো সংগঠন, সমাজ বা রাষ্ট্রে সুষম উন্নয়ন ও এর ইপ্সিত লক্ষ্যে পৌঁছার কেবলমাত্র উপায় হলো একটি যোগ্য নেতৃত্ব। যোগ্য নেতৃত্ব যেমন কোনো সংগঠন, সমাজ বা জাতিকে সফলতার চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে, আবার বিপরীত দিকে অযোগ্য নেতৃত্ব ঠিক একটি সংগঠন, সমাজ বা জাতিকে ধ্বংসের অতল তলে নিমজ্জিত করতে পারে। অতএব যেকোনো সংগঠন বা জাতির অনুসারীদের সর্বাগ্রে যে বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় এনে এর বিকাশ ও উৎকর্ষতায় মনোনিবেশ করতে হবে তা হলো নেতৃত্ব। নেতৃত্ব আসলে কাকে বলে বা এর স্বরূপ কী? এটি একটি স্বাভাবিক প্রশ্ন! নেতৃত্ব হলো কোনো গোষ্ঠী, গ্র“প বা জাতিকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার যোগ্যতা বা ক্ষমতা। নেতৃত্বকে আমরা একটি বাসের ড্রাইভারের সাথে তুলনা করতে পারি। একটি বাসের অনেক যাত্রী থাকলেও সামনের ব্যক্তিটি স্টেয়ারিং ধরে যেমনিভাবে বাসকে তার গন্তব্যে পৌঁছে দেন তেমনিভাবে কোনো সংগঠন বা সমাজ বা জাতিকে সামনে থেকে তার লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়ার সকল আয়োজন যিনি পরিচালনা করেন তিনি নেতা এবং তার কর্মকাণ্ড হলো নেতৃত্ব। নেতৃত্ব শব্দটির ইংরেজি হলো Leadership শব্দটি এর ক্রিয়া Lead হতে উৎপত্তি যার অর্থ চালনা করা বা পরিচালনা করা। এক্ষেত্রে ইংরেজিতে ব্যবহৃত উক্তিটি নেতৃত্বের বিষয়টিকে আরো পরিষ্কার করতে পারে। যেখানে বলা হয়েছে Leader shows the way অর্থাৎ যিনি পথ দেখান তিনিই নেতা এবং দেখানোর প্রক্রিয়াই নেতৃত্ব। নেতৃত্বের গুরুত্ব সম্পর্কে আমরা আমাদের প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ (সা)-এর হাদিস থেকে আরো পরিষ্কার ধারণা পেতে পারি। যেখানে তিনি বলেন, “তোমরা যদি কোথাও বের হও আর সংখ্যায় তিনজন থাকো তাহলে তার মধ্য থেকে একজনকে নেতা বানিয়ে নাও।’’ অর্থাৎ নেতৃত্ব অপরিহার্যতার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ বা সংশয় থাকার কোনো সুযোগ নেই। এবার নেতৃত্বের ধরন নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। সাধারণভাবে চার ধরনের নেতৃত্ব আমরা সমাজে দেখতে পাই। একটি হলো মহৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব যার মাধ্যমে সংগঠন, সমাজে বা রাষ্ট্রে কল্যাণ, সুখ ও উন্নয়নের এক সুষম সমন্বয়ের সৃষ্টি হয়। অপর দিকে যোগ্য কিন্তু নীতিহীন নেতৃত্ব যার কারণে সমাজে বৈষম্য, বিশৃঙ্খলা, হানাহানি, অরাজকতা ইত্যাদি দেখা দেয় এবং এক অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করে। আর এক ধরনের নেতৃত্বও দেখা যায় যা হলো নীতিবান কিন্তু অযোগ্য। এ ধরনের নেতৃত্বের ফলে সমাজের ধারাবাহিকতা নষ্ট হয় এবং বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি হয়। সুতরাং নেতৃত্বের মাপকাঠিকে যোগ্যতা ও নীতির সুষম সমন্বয় যার চূড়ান্ত রূপ মহৎ নেতৃত্ব। এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রিয় নবীর বাণী অত্যন্ত বিবেচনাযোগ্য। তিনি বলেন, “তোমরা সকলেই দায়িত্বশীল এবং তোমাদের প্রত্যেকটি দায়িত্বের ব্যাপারে তোমরা কিয়ামতের দিন জিজ্ঞাসিত হবে।” অতএব ইহকালীন সফলতা ও পরকালীন মুক্তির একমাত্র পথ হলো জবাবদিহিতামূলক মহৎ নেতৃত্ব। মহৎ নেতৃত্ব বিকাশের উপায় মহৎ নেতৃত্ব বিকাশের ক্ষেত্রে চারটি মৌলিক ভিত্তি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা অপরিহার্য :

(ক) সাহস (Courage) : নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সাহস একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ ক্ষেত্রে সাহস শব্দটি যে সেকল ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যায় তা হলো : সিদ্ধান্ত গ্রহণের সাহস গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অটল থাকার সাহস সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পর ইতিবাচক বা নেতিবাচক যেকোনো ধরনের Feedback মোকাবেলা করার সাহস। সর্বোপরি যেকোনো ধরনের হুমকি (Threat) মোকাবেলা করার সাহস।

(খ) সুদৃষ্টি বা দূরদৃষ্টি (acumen) : মহৎ নেতা সবার সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন কিন্তু তার সুদৃষ্টি অনেক সামনে থেকে তাকে নেতৃত্ব দেন। ইংরেজিতে বলা হয় ‘Leading from the front.” এ ধরনের কর্মকাণ্ডই ব্যক্তিকে মহৎ নেতৃত্বে পরিণত করে। দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বই কেবল একটি সংগঠনকে নির্বিঘে তার কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে।

(গ) জ্ঞানের দক্ষতা (Expert of knowledge) : মহৎ নেতৃত্ব বিকাশের পথে অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিয়ামক হলো জ্ঞান। সকল বিষয়ে সম্যক জ্ঞান অর্জন হলো মহৎ নেতৃত্বের পূর্বশর্ত। জ্ঞান নেতৃত্বের যোগ্যতাকে বিকশিত করে, ব্যক্তির উদারতা বৃদ্ধি করে এবং অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান অভিজ্ঞতার ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করে। এ ক্ষেত্রে কয়েকটি উৎস হতে জ্ঞান আহরণ করা যেতে পারে। প্রথমত যেমন পূর্বজ্ঞান (Cognitive), অভিজ্ঞতা (Experience), অবলোকন (observation) এবং ঐশী জ্ঞান (revealed)। উপরোক্ত উৎসসমূহের মধ্যে ঐশী জ্ঞান নেতৃত্বের পরিপূর্ণতা আনয়নে সব থেকে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে। কারণ ঐশী জ্ঞানের মধ্যে অপরাপর সবগুলো উপাদান নিহিত থাকে। এ ছাড়াও সকল মনীষীর জীবনী থেকে লব্ধ জ্ঞান চলার পথের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে। মনে রাখতে হবে মহৎ নেতৃত্বের মাপকাঠির ভিত্তিই হবে জ্ঞানভিত্তিক নেতৃত্ব।

(ঘ) সংগঠিত করার ক্ষমতা (ability to organize) : মহৎ নেতৃত্বের মূলত চূড়ান্ত মাপকাঠি হলো সবাইকে সংগঠিত করার যোগ্যতা অর্জন করা। মহৎ নেতৃত্বের চারিত্রিক সম্মোহনী বৈশিষ্ট্য সবাইকে সংগঠিত করতে সাহায্য করে। প্রতিপত্তি বা শক্তির মহড়ায় সংগঠিত রূপ স্থায়িত্ব পায় না। সময়ের ব্যবধানে তার অনুসারীগণই নেতার শত্র“তে পরিণত হয়। কিন্তু মহৎ নেতৃত্বের গুণাবলি দ্বারা সংগঠিত অনুসারীগণ বিপদ আপদ, ভাল-মন্দ সর্বাবস্থায় নেতাকে প্রাচীরের ন্যায় ঘিরে রাখে এবং প্রতিটি কদমে তাকে প্রাণ দিয়ে সহযোগিতা করে। সুতরাং সংগঠিত করার যোগ্যতা বা দক্ষতা ব্যক্তির নেতৃত্বকে শুধুই মহৎই করে না বরং নেতৃত্বকে স্থায়ী ও সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করায়। সফলভাবে নেতৃত্ব বিকাশের ক্ষেত্রে-উপরোক্ত মৌলিক উপাদানসমূহ অর্জনের ক্ষেত্রে নিন্মাক্ত দক্ষতাসমূহ (Skills) অর্জন করা অপরিহার্য : দলগত ব্যবস্থাপনা (Team management) কৌশলগত দক্ষতা (Strategic tools) সমস্যা সমাধানের দক্ষতা (Problem solving skills) সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা (Decision making skills) সময় ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত দক্ষতা (Time management skill) স্ট্রেস ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত দক্ষতা (Stress management skill) কমিউনিকেশন দক্ষতা (Communication skill) সৃজনশীল কৌশল সংক্রান্ত দক্ষতা (Creativity techniques skill) শিক্ষণ দক্ষতা (learning skill) ক্যারিয়ার দক্ষতা (Career skill) উল্লিখিত দক্ষতাসমূহ একটি সফল ও মহৎ নেতৃত্ব বিকাশের জন্য এতটাই অপরিহার্য, যেমন মানবদেহের প্রতিটি উপাদান তার স্বাভাবিক চলাচলের জন্য অপরিহার্য। এখানে প্রতিটি দক্ষতাই সমভাবে অর্জন করা জরুরি তবুও দুই-একটি বিষয়ে কিছু আলোচনা করা যেতে পারে। চাপ ব্যবস্থাপনা (Stress management) সংক্রান্ত দক্ষতা অর্জনের জন্য ব্যক্তির সামনে দু’টি পথ উন্মুক্ত থাকে। প্রথমত দৃঢ়তার সাথে চাপকে মোকাবেলা করা। দ্বিতীয়ত, চাপ নিতে না পেরে মাঠ থেকে পলায়ন করা। ইংরেজিতে বলা হয়- Fight or flight. এ ছাড়া ক্যারিয়ার সংক্রান্ত দক্ষতা সমাজে ব্যক্তিকে মর্যাদার আসনে আসীন করে এবং আত্মসম্মানবোধ ও সকল ক্ষেত্রে দায়িত্বানুভূতি জাগ্রত করে। যেকোনো সংগঠন বা সমাজের নেতৃত্বের বিকাশ বা উৎকর্ষতার একমাত্র উদ্দেশ্য থাকে একটি সফল ও কার্যকর (effective) পরিবর্তন। একটি কার্যকর ও সফল পরিবর্তনের (change) জন্য বিকশিত নেতৃত্বের নিন্মল্লিখিত চারটি স্তরে (যা একটির সাথে অন্যটি সম্পৃক্ত) কিছু গুরুত্বপূর্ণ যোগ্যতা থাকা একান্ত অপরিহার্য।

প্রথম স্তর পূর্ণজ্ঞান বা বোধশক্তিসম্পন্ন যোগ্যতা (Cognitive competences) : এই স্তরে যে সমস্ত গুণাবলি থাকা প্রয়োজন-
ক) সৃজনশীলতা (Creativity)
খ) স্বনির্ভরতা (Self rellience)
গ) সমস্যা সমাধানের যোগ্যতা (Problem solving capabilities)
ঘ) বিশ্লেষণধর্মী যোগ্যতা (Analytical abilities) ঙ) বহুমুখী চিন্তা (Divergent thinking)
চ) ভবিষ্যৎমুখিতা (Future oriented)
ছ) ভালো পরার্শক (Good consolation)
জ) সূক্ষ্ম বিবেচনাবোধ (Critical approach)

দ্বিতীয় স্তর আনুষ্ঠানিক যোগ্যতা (Functional competences) এই স্তরে যে সমস্ত গুণাবলি থাকা প্রয়োজন-
ক) কমিউনিকেশন দক্ষতা (Communication skill)
খ) প্রযুক্তিনির্ভর বা বিশেষ জ্ঞানভিত্তিক দক্ষতা (Technological or special knowledge)
গ) ক্যারিয়ার পরিকল্পনা (Career planning)
ঘ) ব্যবস্থাপনা যোগ্যতা (Managerial abilities) ঙ) শক্তিশালী সিদ্ধান্ত গ্রহণের যোগ্যতা (Strong decision making abilities)
চ) জ্ঞানের দক্ষতা (knowledge abilities)

তৃতীয় স্তর সামাজিক যোগ্যতা (social competence) এই স্তরে যে সমস্ত গুণাবলি থাকা প্রয়োজন-
ক) আন্তঃব্যক্তি সম্পর্কীয় দক্ষতা (Inter-personal skill)
খ) কর্মক্ষমতা (Working abilities)
গ) বহুমুখী সাংস্কৃতিক দক্ষতা (Cross-cultural abilities)
ঘ) উদারতা ( Flexible to others)
ঙ) চাপ প্রশমন দক্ষতা (Stress management capabilities)
চ) মোটিভেশন ভূমিকা (Motivational role)
ছ) নৈতিক দক্ষতা (Ethical skill)
জ) সমন্বিত দক্ষতা (Integration skill)

চতুর্থ স্তর সফল পরিবর্তন (Successful change): এই স্তরে যে সমস্ত গুণাবলি থাকা প্রয়োজন-
ক) উৎপাদন/ফলাফলমুখিতা বৃদ্ধি (Increase in productivity)
খ) সম্পর্ক বৃদ্ধি (Increase in relationship quality)
গ) শক্তিশালী সমন্বয় (strong co-operation) ঘ) সাংগঠনিক সংস্কৃতি ও পরিবেশ শক্তিশালীকরণ (Strengthen organizational culture & climate
ঙ) জনশক্তির সন্তুষ্টি অর্জন (Manpowers’ satisfaction)
চ) বিবাদ/ ভুল বোঝাবুঝি দূরীকরণ (Reduce conflict) যেকোনো সংগঠন বা সমাজে একটি সফল ও অনিবার্য পরিবর্তনের জন্য সৎ, যোগ্য ও মহৎ নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই।

সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব তৈরির জন্য দরকার একদল প্রতিশ্র“তিশীল সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্নচারী জনগোষ্ঠীর যারা জীবনের মিশন হিসেবে নেতৃত্বকে বেছে নেবেন এবং উল্লিখিত বিষয়সমূহ অর্জনে সম্মুখপানে ধাবিত হবেন সুপরিকল্পিতভাবে। তাদের মিশন হবে ইংরেজ কবি রবার্ট ফ্রস্টের ভাষায়ঃ

The woods are lovely, dark and deep. But I have promises to keep, and miles to go before I sleep miles to go before I sleep.’’

মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৭

শিক্ষকের গুণাবলী!

শিক্ষাই জাতীর মেরুদন্ড।সেই মেরুদণ্ড তৈরির কারিগর হিসাবে যারা দ্বায়িত্ব পালন করেন তারা শিক্ষক।শিক্ষকের দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক বেশি।
শিক্ষার আলো মানুষের মনকে আলোকিত করে, বিকশিত করে মানবিক গুণাবলীকে ।প্রত্যেক ভাবে মানুষের মতে এ মানবিক গুনাবলী থাকা অত্যাবশ্যক। মানবিক গুণাবলী অর্জনের একটি অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর মানসম্মত পাঠদান পদ্ধতি শৃঙ্খলাবদ্ধতা, আধুনিক নৈতিক গুণাবলী অর্জনের সুযোগ রয়েছে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাণ শিক্ষক। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আদর্শ শিক্ষক থাকলে সে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মানবিক গুণাবলী বিকশিত হবেই। শিক্ষকতা কোনো পেশা নয়; এটা ব্রত। শিক্ষকতার প্রতি যদি আপনার ভালোবাসা না থাকে, তাহলে সেটি আপনার নিকট পেশা ছাড়া আর কিছুই নয়। সবাই ভালো ছাত্র হয় না, তবে সবাই ভালো মানুষ হতে পারে’- শিক্ষার লক্ষ্য হলো ভালো মানুষ তৈরি করা। আর ভালো মানুষ গড়ার মূল দায়িত্ব শিক্ষকগণের উপর ন্যস্ত। যিনি শিক্ষক তিনি সর্বস্থানেই একজন শিক্ষক- এ কথাটা স্মরণ রাখা দরকার।  শিক্ষককে অবশ্যই একজন আদর্শ শিক্ষক হতে হবে।আর আদর্শ শিক্ষক হতে হলে কতগুলো বিষয় নিজের মাঝে গড়ে তুলতে হবে-

১) সুন্দর বাচনভঙ্গি;
২) আকর্ষনীয় উপস্থাপনা কৌশল;
৩) সুনির্দিষ্ট বিষয়ে জ্ঞানের গভীরতা;
৪) দূরদর্শীতা,
৫) কৌশলী;
৬) বন্ধুবাৎসল্য;
৭) কাজের প্রতি ভালোবাসা;
৮) অপরের মতামতের প্রতি গুরুত্ত দেয়া;
৯) ভালো শ্রোতা হওয়া;
১০) পারষ্পারিক শ্রদ্ধাবোধ;
১১) আদর্শবোধে উজ্জীবিত হওয়া;
১২) সহনশীলতা এবং ধৈর্যশীলতা;
১৩) পারষ্পারিক সহযোগিতার মনোভাব;
১৪) জ্ঞানপিপাসু;
১৫)সততা অপরিহার্য।


এছাড়াও অনেক গুণাবলী আছে যেগুলো নিজের মধ্যে সন্নিবেশ এবং চর্চা করতে হবে।
আপনি যদি শিক্ষকতাকে ভালোবাসেন তাহলে এটা আপনার জন্য উপযুক্ত এবং যথেষ্ট।শিক্ষকতা একটা সেবামূলক কাজ। তাই অর্থের সাথে এর তুলনা না করাই শ্রেয়। পরিশেষে বলা যাই যে “শিক্ষকতা একটা ধর্ম, একে জীবনে ধারণ করতে হয়; জ্ঞানীমাত্রই শিক্ষক নন"।

শিক্ষকের গুণাবলী!

শিক্ষাই জাতীর মেরুদন্ড।সেই মেরুদণ্ড তৈরির কারিগর হিসাবে যারা দ্বায়িত্ব পালন করেন তারা শিক্ষক।শিক্ষকের দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক বেশি।
শিক্ষার আলো মানুষের মনকে আলোকিত করে, বিকশিত করে মানবিক গুণাবলীকে ।প্রত্যেক ভাবে মানুষের মতে এ মানবিক গুনাবলী থাকা অত্যাবশ্যক। মানবিক গুণাবলী অর্জনের একটি অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর মানসম্মত পাঠদান পদ্ধতি শৃঙ্খলাবদ্ধতা, আধুনিক নৈতিক গুণাবলী অর্জনের সুযোগ রয়েছে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাণ শিক্ষক। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আদর্শ শিক্ষক থাকলে সে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মানবিক গুণাবলী বিকশিত হবেই। শিক্ষকতা কোনো পেশা নয়; এটা ব্রত। শিক্ষকতার প্রতি যদি আপনার ভালোবাসা না থাকে, তাহলে সেটি আপনার নিকট পেশা ছাড়া আর কিছুই নয়। সবাই ভালো ছাত্র হয় না, তবে সবাই ভালো মানুষ হতে পারে’- শিক্ষার লক্ষ্য হলো ভালো মানুষ তৈরি করা। আর ভালো মানুষ গড়ার মূল দায়িত্ব শিক্ষকগণের উপর ন্যস্ত। যিনি শিক্ষক তিনি সর্বস্থানেই একজন শিক্ষক- এ কথাটা স্মরণ রাখা দরকার।  শিক্ষককে অবশ্যই একজন আদর্শ শিক্ষক হতে হবে।আর আদর্শ শিক্ষক হতে হলে কতগুলো বিষয় নিজের মাঝে গড়ে তুলতে হবে-

১) সুন্দর বাচনভঙ্গি;
২) আকর্ষনীয় উপস্থাপনা কৌশল;
৩) সুনির্দিষ্ট বিষয়ে জ্ঞানের গভীরতা;
৪) দূরদর্শীতা,
৫) কৌশলী;
৬) বন্ধুবাৎসল্য;
৭) কাজের প্রতি ভালোবাসা;
৮) অপরের মতামতের প্রতি গুরুত্ত দেয়া;
৯) ভালো শ্রোতা হওয়া;
১০) পারষ্পারিক শ্রদ্ধাবোধ;
১১) আদর্শবোধে উজ্জীবিত হওয়া;
১২) সহনশীলতা এবং ধৈর্যশীলতা;
১৩) পারষ্পারিক সহযোগিতার মনোভাব;
১৪) জ্ঞানপিপাসু;
১৫)সততা অপরিহার্য।


এছাড়াও অনেক গুণাবলী আছে যেগুলো নিজের মধ্যে সন্নিবেশ এবং চর্চা করতে হবে।
আপনি যদি শিক্ষকতাকে ভালোবাসেন তাহলে এটা আপনার জন্য উপযুক্ত এবং যথেষ্ট।শিক্ষকতা একটা সেবামূলক কাজ। তাই অর্থের সাথে এর তুলনা না করাই শ্রেয়। পরিশেষে বলা যাই যে “শিক্ষকতা একটা ধর্ম, একে জীবনে ধারণ করতে হয়; জ্ঞানীমাত্রই শিক্ষক নন"।

সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৭

কি ভাবে সফল হবেন?

আপনি কি জানেন যে, সফলতা আপনার মৌলিক অধিকার!
কী!
খুব অবাক হচ্ছেন তো আমার কথায়?একদম অবাক হবেন না।বরং, ধৈর্য ধরে পড়তে থাকুন আমার কথাগুলো। সাফল্যের পথে রয়েছে অনেক বিপত্তি, অনেক মরীচিকা। এমনকি সফলতাকে খুঁজতে গিয়ে আপনি হারিয়ে যেতে পারেন চোরাবালিতে!সফল ও ব্যর্থ মানুষের মধ্যে আসল পার্থক্যটা হলো তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে।

আমি দেখিয়ে দেবো সফলতার স্বর্ণদুয়ার উন্মোচনের কিছু সূত্র। দেখবেন, সফলতা আপনার জন্যই অপেক্ষা করছে।

লক্ষ্যপানে অবিচল থাকুন: জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। সেই লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হোন অবিচল সাহসের সাথে। দৃঢ় থাকুন নিজের বিশ্বাসে। নিজের নির্ধারিত লক্ষ্যকে কখনোই ছোট করে দেখবেন না। বিশ্বাস রাখুন নিজের ওপর। সাহস রাখুন প্রতিকূলতাকে জয় করার। সমস্যা আপনার সামনে আসতেই পারে। কিন্তু, মনে রাখবেন- সমাধানহীন সমস্যা কোনো সমস্যাই না। প্রত্যেক সমস্যারই সমাধান থাকে। অতএব কখনোই সমস্যা কিংবা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হলে বিচলিত হবেন না। বরং, আত্মবিশ্বাসের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করুন। মনে রাখবেন, জীবন আপনার। জীবনের লক্ষ্যে আপনাকে পৌঁছাতে হবেই।

ধৈর্য হারাবেন না: অল্পতেই ধৈর্যহারা হবেন না। সৃষ্টিকর্তা ধৈর্যশীলদের সাথে থাকেন। সবর করতে শেখা খুব জরুরি। ‘জীবনে কিছুই পেলাম না’, ‘জীবনে কিছুই হলো না’- কখনোই এগুলো ভাববেন না। বরং, নিজের মস্তিষ্কে ইতিবাচক বার্তা পাঠান। আপনি পারবেন, আপনাকে পারতে হবে। স্রষ্টার ওপর বিশ্বাস রাখুন। বিশ্বাস করুন- আপনার পথের একটি দরজা বন্ধ হলে, সহস্রটি দরজা খুলে যাবে আপনার জন্যে। ঠাণ্ডা মাথায় নীরব সংগ্রাম করে যান!

শুকরিয়া আদায় করুন: যা পাচ্ছেন, যতটুকু পাচ্ছেন- তাই নিয়ে মহান স্রষ্টার কাছে শুকরিয়া আদায় করুন। শুকরিয়া আদায়ে বরকত বাড়ে। আপনি স্রষ্টার প্রতি যত বেশি শুকরিয়া আদায় করবেন, তিনি আপনার প্রতি তত বেশি রহমত নাযিল করবেন। সফলতার পথে স্রষ্টার রহমত খুব বড় নেয়ামত। সন্তুষ্ট হওয়া শিখুন। অপ্রাপ্তি নিয়ে হাহাকার করলে কোনোদিনো শান্তি পাবেন না। হাহাকার করা ব্যর্থ মানুষদের কাজ। সফল মানুষেরা সন্তুষ্টির সাথে সাহস নিয়ে এগিয়ে যায়।সংশয়কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এগিয়ে যান অবিচল লক্ষ্যের দিকে।

সাদকা দিন: প্রত্যেক ধর্মেই সাদকা দেওয়াকে খুব গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়েছে। অর্থ, শ্রম, মেধা ও সময়কে সেবায় রূপান্তরিত করে নিজের ও অন্যের কল্যাণে কাজ করা এবং বঞ্চিত-অসহায়কে স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করাই হলো সাদকা। অন্যের উপকারে নিজেকে নিয়োজিত করলে, নিজের কাজে বরকত পাওয়া যায়। তাই নিয়মিত দান বা সাদকা দিতে পারেন।

 সংশয় ত্যাগ করুন: সংশয় মনকে পঙ্গু করে দেয়। মনের পঙ্গুত্ব খুব ভয়ংকর। নেতিবাচক চিন্তা আপনার মনকে প্রভাবিত করে। ‘পারবো কি না’, ‘হবে কি না’, ‘যদি না হয়’, ‘না হলে কী হবে’ –এ ধরনের সংশয়বাদী চিন্তাগুলোই আপনাকে পিছিয়ে দেয়। এসব নেতিবাচক চিন্তা বা সংশয়বাদকে মনের গহীনে একদম প্রশ্রয় দেবেন না। সংশয়কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এগিয়ে যান অবিচল লক্ষ্যের দিকে।

সমাজকে ভয় পাবেন না: নিজের লক্ষ্যে এগোনোর ক্ষেত্রে সমাজকে একদম ভয় পাবেন না। সমাজের কাজই হলো আপনাকে বিভ্রান্ত করা। সমাজকে ভয় পেয়ে আপনি হেরে গেলে, জিতে যাবে সমাজ। সমাজের পিছুটানকে কিছুতেই জিততে দেবেন না। নিজেকে বলুন- ‘তোমরা যে যা বলো ভাই, আমার সোনার হরিণ চাই’!

 অলীক কল্পনাকে দূরে রাখতে হবে: ‘যদি আমার এটা থাকতো’, ‘এমন যদি হতো’- এ ধরনের কল্পনা গুলোই হতাশাগ্রস্ত জীবনের জন্যে দায়ী। এই ধরনের চিন্তা থেকে দূরে থাকতে হবে। জীবনে চলার পথে ‘যদি’ কে ‘নদী’তে ফেলতে হবে। ‘কী হলে কী হতো’ –সেই চিন্তা বাদ দেওয়া শিখতে হবে। অতীত নিয়ে চিন্তাগ্রস্ত থেকে বর্তমানকে অবহেলা করা যাবে না। অলীক কল্পনাকে দূরে সরিয়ে বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। দেখবেন, সাফল্য আপনারই হবে!

অলসতা পরিহার করতে হবে: আলস্য সফলতার পথে বিরাট বাধা। আকাশ কুসুম কল্পনা নিয়ে বসে থাকা যাবে না। প্রতিটা মুহূর্তকে কাজে লাগাতে হবে। তবেই আপনি সফল হবেন।

অভ্যস করুন: প্রতি সকালে ঘুম থেকে জাগ্রত হবার তিনটি বাক্য বলার অভ্যস করুন।

           (১) আমিই সেরা,
           (২) আমিই পারবো,
           (৩) আমার দ্বারা সবই সম্ভব।

এই বাক্য বলার মাধ্যমে দেখবেন আপনার দৃষ্টিভঙ্গীই পরিবর্তন হয়ে যাবে। উপরের বিষয়গুলো নিয়মিত অনুসরণ করুন দেখবেন জীবনটাই বদলে যাবে।

বই পড়ার অভ্যাস করুনঃ প্রচুর বই পড়ুন,আর বই কিনুন।জানেনতো,প্রমথ চৌধুরীর সেই বিখ্যাত উক্তি "বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না।"তাই বই পড়ার অভ্যাস করুন।বিশেষ করে সফল ব্যক্তিদের জীবনী পড়ুন।আর তাদের অনুস্মরণ করুন দেখবেন জীবন ব্দলে যাবে।

সবসময় মনে রাখবেন কেউ আপনাকে পরিবর্তন করতে পারবেনা, যদি আপনি নিজেই আপনাকে পরিবর্তন না করেন।সবসময় নিজেকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করুন দেখবেন সবকিছু আপনার অনুকুলে।আপনি অবশ্যই সফল মানুষদের একজন হবেন।

প্রস্তুতকারীঃ

মোঃ শাহাবুদ্দীন,

যশোর সদর, যশোর। 

রবিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৭

আমার চাওয়া

অমরত্বে বিশ্বাসী নয় আমি ,
মরতে হবে একদিন এটাই সত্য জানি।
ক্ষণজন্মা এই ধরণীতে কিছু কর্মের জন্য,
বাঁচিয়ে রাখবে এই আমাকে করে তাদের পণ্য।
আমার কোন দাবিদাওয়া নেই,
এই নশ্বর ভুলকে।
যে কতদিন বাঁচবো আমি,
বাঁঁচবো বীরের বেশে।
কত জনই এলো গেলো আরো কতজন আসবে,
কতজনকে এই ধরণী অমর করে রাখবে।
ভীরু হয়ে প্রতারক সেজে চাইনা অমরত্ব,
ধরণীর বুকে আপন আলোয় দেখাতে চাই নিজের অস্তিত্ব।
প্রেমের কারনে চাইনা পেতে ইতিহাসের বুকে ঠাঁই,
মানবসেবাই করে আমি মানব প্রেমী হতে চাই।
মরনের পরে আমার যেন স্মরণ নাহি কেহ করে,
আমার কর্ম আমাকে বাঁচিয়ে রেখে সকলে যেন সদা স্মরে।
এটাই আমার বিশ্বাস,
এটাই আমার চাওয়া,
মরণের পরে সকলেই যেন আমাকে অনুস্বরে।

যখন তুমি বললে

সেই তুমি এলে আমার দ্বারে,
কাশফুলের শুভ্রতা নিয়ে,
শিউলি ফুলের স্নিগ্ধ ছড়িয়ে,
আমার শূন্য ঘরের দখিনা দুয়ারে;
নূপুরের মৃদু ছন্দে, বিহঙ্গিনী ডানা মেলে।

প্রাণে দিলে প্রাণাবেগের দোলা,
অন্তরে বাজলো সুরের মাদল,
আমি যেনো আজ আত্মভোলা,
হৃদয়ের মাঝে প্রেমোদগম;
শিরায় শিরায় নৃত্যের তালে তাহার চলন।

সেই যে তুমি মুগ্ধতা ছড়ালে ,
এতো এতো ভালোলাগা তোমাতে,
বুঝিনি আগে হৃদয়ের ব্যকুলতা,
যেনো ছুটন্ত ঝরর্ণার অবিরাম জলধারা;
সাগরের ঢেউ বালুচরে আছড়ে পড়ার ব্যাকুলতা।

ছড়ালে তুমি জ্যোৎস্নার সিনিগ্ধতা,
যখনই দিলে ছড়িয়ে তোমার ওষ্ঠকোনে,
রঞ্জিত তব অধরের মধুর হাসি,
প্রায় অচেতন আমার ব্যাকুল হৃদয়;
যখন তুমি বললে, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’।

বিশ্বাসের বলিদান

বন্দুকের নল কি শেষ কথা?
শেষ কথা যদি থাকে সেইটা 'মানুষের বিবেক' ।
বিশ্বাসের এই ঊষর ভূমিতে দাঁড়িয়ে,
আমি অনুভব করি মানবতার আর্তনাদ।
আমি জানি, প্রতিটি শিশু জন্ম নেয় স্বাধীন ভাবে,
মুক্ত ভাবে পৃথিবীতে বিচরণের জন্য।
জানি, খাঁচায় বন্দী পাখি হারায় স্বকীয়তা,
প্রতিনিয়ত ডানা ঝাঁপটায় বলে 'আমি মুক্তি চাই'।
শাসকের নিষ্ঠুরতায় কেঁপে কেঁপে ওঠে বুক,
বন্দুকের নলের মুখে থাকে সকল বিশ্বাস।
তবুও কাঁপে না নিষ্ঠুর শাসকের বিবেক,
সময়ের ক্রান্তিকালে মানুষ হারিয়ে ফেলে মানুষের প্রতি
ভালবাসা, বিশ্বাস।
এ কেমন ধরণী বিধাতা দিলে মোরে?
যেখানে বিবেকহীন সব হায়েনার বসবাস।
কোন সে মমতাময়ী জঠরে করিলে ধারণ এ নিষ্ঠুর পাষাণের,
যেথায় অনুভব করি মানবতা শুন্য এক পাষাণ ধরিত্রী,
যেখানে বিশ্বাস হচ্ছে প্রতিনিয়ত শাসকের নিজ হস্তে বলি।