মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৭

শিক্ষকের গুণাবলী!

শিক্ষাই জাতীর মেরুদন্ড।সেই মেরুদণ্ড তৈরির কারিগর হিসাবে যারা দ্বায়িত্ব পালন করেন তারা শিক্ষক।শিক্ষকের দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক বেশি।
শিক্ষার আলো মানুষের মনকে আলোকিত করে, বিকশিত করে মানবিক গুণাবলীকে ।প্রত্যেক ভাবে মানুষের মতে এ মানবিক গুনাবলী থাকা অত্যাবশ্যক। মানবিক গুণাবলী অর্জনের একটি অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর মানসম্মত পাঠদান পদ্ধতি শৃঙ্খলাবদ্ধতা, আধুনিক নৈতিক গুণাবলী অর্জনের সুযোগ রয়েছে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাণ শিক্ষক। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আদর্শ শিক্ষক থাকলে সে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মানবিক গুণাবলী বিকশিত হবেই। শিক্ষকতা কোনো পেশা নয়; এটা ব্রত। শিক্ষকতার প্রতি যদি আপনার ভালোবাসা না থাকে, তাহলে সেটি আপনার নিকট পেশা ছাড়া আর কিছুই নয়। সবাই ভালো ছাত্র হয় না, তবে সবাই ভালো মানুষ হতে পারে’- শিক্ষার লক্ষ্য হলো ভালো মানুষ তৈরি করা। আর ভালো মানুষ গড়ার মূল দায়িত্ব শিক্ষকগণের উপর ন্যস্ত। যিনি শিক্ষক তিনি সর্বস্থানেই একজন শিক্ষক- এ কথাটা স্মরণ রাখা দরকার।  শিক্ষককে অবশ্যই একজন আদর্শ শিক্ষক হতে হবে।আর আদর্শ শিক্ষক হতে হলে কতগুলো বিষয় নিজের মাঝে গড়ে তুলতে হবে-

১) সুন্দর বাচনভঙ্গি;
২) আকর্ষনীয় উপস্থাপনা কৌশল;
৩) সুনির্দিষ্ট বিষয়ে জ্ঞানের গভীরতা;
৪) দূরদর্শীতা,
৫) কৌশলী;
৬) বন্ধুবাৎসল্য;
৭) কাজের প্রতি ভালোবাসা;
৮) অপরের মতামতের প্রতি গুরুত্ত দেয়া;
৯) ভালো শ্রোতা হওয়া;
১০) পারষ্পারিক শ্রদ্ধাবোধ;
১১) আদর্শবোধে উজ্জীবিত হওয়া;
১২) সহনশীলতা এবং ধৈর্যশীলতা;
১৩) পারষ্পারিক সহযোগিতার মনোভাব;
১৪) জ্ঞানপিপাসু;
১৫)সততা অপরিহার্য।


এছাড়াও অনেক গুণাবলী আছে যেগুলো নিজের মধ্যে সন্নিবেশ এবং চর্চা করতে হবে।
আপনি যদি শিক্ষকতাকে ভালোবাসেন তাহলে এটা আপনার জন্য উপযুক্ত এবং যথেষ্ট।শিক্ষকতা একটা সেবামূলক কাজ। তাই অর্থের সাথে এর তুলনা না করাই শ্রেয়। পরিশেষে বলা যাই যে “শিক্ষকতা একটা ধর্ম, একে জীবনে ধারণ করতে হয়; জ্ঞানীমাত্রই শিক্ষক নন"।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন